গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩২৯ জনে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৮ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ১৪৯ জনে।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
শনিবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১০৯ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৮ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৩৩ হাজার ২৩০টি। পরীক্ষা করা হয় ৩৩ হাজার ৩৭৩টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ১০ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ, ৭ জন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১২ জন। চট্টগ্রামে ২, রাজশাহীতে ১, খুলনায় ২ বরিশালে ১, রংপুরে ২ ও ময়মনসিংহে ১ জন মারা গেছেন।
এর আগে শুক্রবার ২০ জনের মৃত্যু হয়। আক্রান্ত হয় ১৫ হাজার ৪৪০ জন।
এদিকে ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শুক্রবার বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪০৯ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ১০ হাজার ২৬৬ জনের।
আগের দিন বৃহস্পতিবার বিশ্বজুড়ে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৪ লাখ ১৭ হাজার ৩৬৬ জন এবং করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৯ হাজার ৯২৭ জনের।
বরাবরের মতো শুক্রবারও দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই দিন দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৩ জন এবং এই রোগে মারা গেছেন ২ হাজার ৬৮৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।