রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড় ও বৃষ্টি হয়েছে। এতে করে গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরম থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে নগরবাসী। আজ শনিবার (২১ মে) ভোর পৌনে ৬টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এরপর সকাল ৮টার দিকে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। এতে কয়েকদিন ধরে চলা অস্বস্তিকর গরমে স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে।
এছাড়া আজ সকাল থেকে কুমিল্লা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও যশোর অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া আজ সারাদিন দেশের অধিকাংশ জায়গায় ঝড়-বৃষ্টির পাশাপাশি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে। শুক্রবার (২০ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য দেয়া হয়েছে।
পুর্বাভাসে বলা হয়েছে, মর্তবান উপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমারে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে প্রথমে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, পরবর্তীতে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়ে মিয়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। অপর একটি লঘূচাপের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এমন অবস্থায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সাথে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসময় দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে
এছাড়া, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।